EIIN: 130576

প্রধান শিক্ষকের বাণী

১৯৯২ সালে দামুড়হুদা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস,এস,সি, ১৯৯৪ সালে ঢাকার তেজগাও কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৯৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক এবং ১৯৯৮ সালে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ( বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এম,এ পাশ করার পর ঢাকার নব কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে অফিস ব্যবস্থাপনা,ইন্টারনেট পরিচালনার উপর ০৬ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সূদুর সৌদি আরবের জেদ্দায় গমন করে  সেখানে কম্পিউটার আল হারদী নামক একটি কম্পিউটার ফার্মে চাকুরিতে যোগদান করি । আরব দেশে  অবস্থানকালে আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে হজ্ব  ব্রত পালন করি ।  

 

২০০৪ সালে দেশে ফিরে মাতৃভূমি জুড়ানপুরে অবস্থানকালে গ্রামের গণ্য মান্য  ব্যক্তি বর্গের সাথে গ্রামে একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠক  অনুষ্ঠিত হয় । বিশেষ করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ফজলুর রহমান,আজিজুল হক বিডিআর,নিজাম উদ্দীন,সিরাজুল ইসলাম,আঃ মজিদ মল্লিক,জমির উদ্দিন,মোখলেছুর রহমান,সহিদুল ইসলাম প্রমূখ । তাদের সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও অক্লান্ত  কর্ম প্রচেস্টায় গ্রামে একটি হাই স্কুল স্থাপন করার সিদ্ধান্তে উপনীত হই ।  অতঃপর ২০০৪ সালে আমার পৈত্রিক জমি এবং ভাগিনা মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর তার মাতার জমি বিদ্যালয়ের নামে প্রদান করার মাধ্যমে এবং আঃমজিদ,আশাদুক হক,সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল ডালীমের আর্থিক অনুদানে  জুড়ানপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে একটি  স্কুল স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে রায়হান উদ্দিন আমাদের সাথে যুক্ত হয় । আমি গ্রামবাসীর নিকট চির কৃতজ্ঞ । বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।    

 

পিতা মরহুম মোজাম্মেল হক ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার শিক্ষকতা পেশা আমাকে এই পেশায় নিয়ে আসতে অনুপ্রাণীত করে । এই মানবিক পেশাকে ২০০৪ সাল থেকে আকড়ে ধরে রেখে  দীর্ঘ ১৫ বছর নন-এমপিও স্কুল হিসেবে থাকার পর ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঘোষণায় বিদ্যালয়টি এমপিও ভূক্ত হয়। বর্তমানে নতুন একাডেমিক ভবনও নির্মিত হয়েছে । ১১ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী এবং ম্যানেজিং কমিটির সুযোগ্য সভাপতি সহ সকল সদস্য বিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে ।      

 

এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামের এই বিদ্যালয়ে যেন আধুনিকতার ছোঁয়া বিরাজমান থাকে। একটি স্মার্ট,ডিজিটালাইজড,যুগোপযোগী ও সকল সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন হবে। যে বিদ্যালয় থেকে গ্রামের ছেলেমেয়েরা বাংলা,ইংরেজী,আইসিটি,গণিত,বিজ্ঞান,ইতিহাস ও ধর্মীয় সহ সকল বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারবে । সন্তানের সাফল্যে তাদের অভিভাবকগণের বুক আনন্দে ভরে উঠবে । সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে অদ্যবধি গ্রামবাসীর নিকট অঙ্গীকারবদ্ধ । এব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য এলাকার সূধী সমাজ ও সরকারের সুদৃষ্টি  কামনা করছি ।